চতরা ইউনিয়নে ১৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪ টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০ টি মাদ্রাসা এবং ৩ টি কলেজ রয়েছে; তন্মধ্যে চতরা উচ্চ বিদ্যালয়, চতরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চতরাহাট দাখিল মাদ্রাসা, নীল দরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, চতরা ডিগ্রি কলেজ এবং চতরা বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজ এর নাম উল্লেখযোগ্য।
ঐতিহ্যবাহী চতরাহাট চতরার একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন আবকাঠামো। এ হাটে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ডিলার ও মহাজনও রয়েছেন। এ হাট হতে ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় যাওয়া পণ্যবাহী ট্রাক লোড হয়ে থাকে এবং এখান থেকে পার্শ্ববর্তী ২০ কিলোমিটার ভিত্তিক আঞ্চলিক বিনোদন ও বিজ্ঞাপন টিভি সম্প্রচার সেন্টার রয়েছে।
চতরা ইউপি ভবন চতরাহাট সংলগ্ন এবং চতরাহাট হতে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে এবং রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত প্রশস্ত পাকা সড়ক রয়েছে। এছাড়াও চতরা ইউনিয়নের অভ্যন্তরে চতরাহাট হতে অন্যান্য গ্রামসমূহের সঙ্গে সংযুক্ত অধিকাংশ রাস্তাই পাকা। ফলে চতরা ইউনিয়ন পরিবহন যোগাযোগে উন্নত।
সম্প্রতি চতরার প্রায় সকল গ্রামেই বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে প্রায় সকল গ্রামেই ডিস লাইন টিভি সেবা পৌঁছেছে। বেশকিছু গ্রামে বাণিজ্যিক ভিত্তিক ওয়াইফাই ইন্টারনেট সেবার লাইনও সরবরাহ করা হয়েছে এবং সরকারিভাবে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা চালুর প্রচেষ্টা চলছে। এর কয়েক বছর আগে থেকেই চতরায় দুইটি মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক সাপ্লাইয়ের টাওয়ার রয়েছে যা কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলে মোবাইল ফোনভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দিতে কাজ করে এসেছে। ফলে চতরা ইউনিয়ন তথ্য যোগাযোগে উন্নত হতে উন্নততর হতে চলেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চতরাহাটে সরকারি ব্যাংক হিসেবে সোনালী ব্যাংক এর শাখা রয়েছে আর বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রামীন ব্যাংক এর শাখা রয়েছে এবং বেশকিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে।
পাশাপাশি ব্র্যাক, আশা এবং টিএমএসএসসহ বেশকিছু এনজিও এ এলাকার দরিদ্র শ্রেণির পারিবারিক আর্থিক উন্নয়নে কাজ করছে।
হাসপাতাল হিসেবে রয়েছে শিশু হাসপাতাল এবং সূর্যের হাসি ক্লিনিক। এছাড়াও ইউনিয়নে রয়েছে বেশকিছু কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব হাসপাতাল বিনামূল্যে এবং স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দিয়ে ইউনিয়নের জনসাধারণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদান রাখছে।
সম্প্রতি এ অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান নীল দরিয়াকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের মানুষ পর্যটন স্পটে ব্যবসা করে অর্থ আয়ের অধিকারী হবে এবং এ পর্যটন কেন্দ্রে অনেকের কর্মসংস্থান হবে।
এছাড়াও চতরাকে আইসিটি মিডিয়ায় আধুনিক যোগাযোগ সুবিধাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য অনন্য পদক্ষেপ হতে নিয়েছে চতরাপিডিয়া। চতরাপিডিয়া হলো এ অঞ্চলের একটি অ্যাপসভিত্তিক পাবলিক ফোনবুক এবং চতরায় শহর লেভেলের সেবা চালু করার একটি উদ্যোগ।
চতরাপিডিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের মন্তব্য—
• এনামুল হক শহীন, চেয়ারম্যান, ১৪ নং চতরা ইউনিয়ন পরিষদ→ মন্তব্য দেখুন (কাজ চলছে)।
• মোঃ হাসান আলী, সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ নং চতরা ইউনিয়ন শাখা→ মন্তব্য দেখুন (কাজ চলছে)।
• আব্দুর রব প্রধান, অধ্যক্ষ, চতরা বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজ→ মন্তব্য দেখুন (কাজ চলছে)।
• সুচিত্র সরকার, প্রশিক্ষক, সরকারি আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রকল্প, পীরগঞ্জ শখা→ মন্তব্য দেখুন (কাজ চলছে)।
© মেহেদী হাসান, উদ্যোক্তা, চতরাপিডিয়া |
Simplifying Life — Chatrapedia
No comments:
Post a Comment